ফ্রান্সের অরলি বিমানবন্দরে সেনাসদস্যের বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টায় সেখানে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেনাসদস্যের ওপর চড়াও হওয়া সন্দেহভাজন ঐ দুর্বৃত্তকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফ্রান্স কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার সকালে প্যারিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর অরলিতে সেনাসদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায় ঐ ব্যক্তি। ২০১৫ সালের নভেম্বরে বাতাক্লঁ মিউজিক ভেন্যুতে হামলা এবং গত বছরের জুলাইয়ে নিস শহরে ট্রাক হামলায় বহু হতাহতের পর ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সেই সময় স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সেনাসদস্যের বিশেষ দল মোতায়েন করা হয়। সেই জরুরি অবস্থা এখনও বহাল আছে। শনিবার সেই বিশেষ বাহিনীরই এক সদস্যের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ঐ সন্দেহভাজন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনার পর ঐ বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে নিরাপত্তা অভিযান চালানো হচ্ছে। লোকজনকে ঐ এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য বলেছে পুলিশ। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। তবে বিবিসিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার যে প্রচেষ্টা হয়েছে, সেটা ভয়াবহ একটা ঘটনা ছিল। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গোলাগুলির পর পরই বিমানবন্দর ফাঁকা করা হয়েছে। ফ্রাংক লেকেম নামের ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘তেল আবিবের ফ্লাইটের আগে নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য আমরা যখন লাইনে দাঁড়ালাম তখন কাছাকাছি তিন-চারটি গুলির শব্দ পেলাম’। এদিকে প্যারিসের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় যানবাহনে নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে এক সন্দেহভাজন দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়। গুলিতে ওই পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে সেই ঘটনার সঙ্গে অরলি বিমানবন্দরের ঘটনার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।